1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
রহস্যময় ঐতিহ্যবাহী শাহ সূফী হযরত ইয়ারউদ্দীন খলিফা (রঃ) মাজার ও জীবনী পটুয়াখালীতে কৃষি কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবীতে কৃষক-কৃষানীদের মানববন্ধন পটুয়াখালীতে গণধ*র্ষণে*র শিকার এক তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বাউফলে দু*র্বৃত্তের দেয়া আ*গুনে পু*ড়ে ছাই গরু-ছাগলসহ অর্ধশত হাঁস-মুরগি পটুয়াখালীতে বিয়ে নিয়ে কথা কা*টাকা*টি; সংঘ*র্ষে নিহ*ত-১; গ্রে*ফতার-১ বাউফলে খেড়ের কুড়ের পাশে নিখোঁজ যুবকের লা*শ পটুয়াখালীতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ভূমি উপ-সহকারি বাপ্পির মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরনসভা অনুষ্ঠিত  বাউফলে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ ‘বাউফল সাংবাদিক ক্লাব’ এর কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন

পটুয়াখালীতে চিড়া-মুড়ি দিয়েই ত্রাণে ক্ষান্ত, খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্তরা

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালীঃ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালীঃ ঘূর্ণিঝড় রিমাল চলে গেলেও রেখে গেছে বহু ক্ষত, সেগুলো এখন দগদগে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ৯৪৭টি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে। আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের। দুর্গত পরিবারগুলোর প্রায় সব মানুষ এখন নানা অসুবিধার মধ্যে দিনযাপন করছেন। তাদের সবচেয়ে বেশি যেটি ভোগাচ্ছে, তাহলো খাদ্য সঙ্কট। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, রিমাল চলে যাওয়ার পর সহায়তা হিসেবে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দুইটি মোমবাতি, গ্যাসলাইট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। তবে ওই চিড়া-মুড়িতে ক্ষুধা মিটছে না দুর্গত মানুষগুলোর।

২ জুন রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে, ৭২ বছরের কাশেম চৌকিদারের আর্তি, ‘বইন্যা মোর সবকিছু লইয়া গ্যাছে, এহন ক্যামনে বাইচ্চা থাকুম’। জানা গেলো, রিমালের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। আবুল কাশেম নামে আরেকজন জানান, ‘বইন্যার দিন বিয়াল (বিকেল) বেলা বউ আর নাতিকে ওয়াপদার উফড়ে থুইয়া ঘরের মালামাল আনতে গেলে, মুই যাইয়া আর কিছুই পাই নাই। নদীর জোয়াইরা পানিতে মোর বাড়ি ঘর হগল কিছু ভাষাইয়া লইয়া গেছে। ঘরে আধা বস্তা চাউল ছিল, তাও লইয়া গেছে পানিতে’। এছাড়াও ঘর-বাড়ি হারিয়ে তিন সদস্যের একটি পরিবার ঠাঁই নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। বসে আছেন ঘরের খালি জায়গায় তক্তা পেতে। ত্রাণ সহায়তার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, ‘বইন্যার পর থেকে এহন তামাইত (পর্যন্ত) অল্পটু চিড়া আর গুড় পাইছি। আর কিছুই পাই নাই। আশে পাশের বাড়ি ঘর থাইক্যা কিছু খাওন (খাবার) দিছিল। এহন মুই কি দিয়া কি করমু। ঘরের চাউল কিনমু ক্যামনে আর ঘর তুলমু ক্যামনে’। রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান জানান, বন্যার পর সহায়তা হিসেবে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দুই টি মোমবাতি, গ্যাসলাইট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, গলাচিপা উপজেলায় ৯৪৭টি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস জানান, ত্রাণ এখনও আসে নাই। পাওয়া মাত্রই বিতরণ করা হবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, আশেপাশে উপজেলার ত্রাণ আসলেও গলাচিপা উপজেলায় এখনও আসেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট