• বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে তিন প্রার্থীর জন্য হাতপাখায় ভোট চাইলেন চরমোনাইর পীর সৈয়দ ফয়জুল করিম চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ

পটুয়াখালীতে চিড়া-মুড়ি দিয়েই ত্রাণে ক্ষান্ত, খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্তরা

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালীঃ / ২০৮ বার পড়া হয়েছে
Update : বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালীঃ ঘূর্ণিঝড় রিমাল চলে গেলেও রেখে গেছে বহু ক্ষত, সেগুলো এখন দগদগে। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ৯৪৭টি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে। আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের। দুর্গত পরিবারগুলোর প্রায় সব মানুষ এখন নানা অসুবিধার মধ্যে দিনযাপন করছেন। তাদের সবচেয়ে বেশি যেটি ভোগাচ্ছে, তাহলো খাদ্য সঙ্কট। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, রিমাল চলে যাওয়ার পর সহায়তা হিসেবে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দুইটি মোমবাতি, গ্যাসলাইট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। তবে ওই চিড়া-মুড়িতে ক্ষুধা মিটছে না দুর্গত মানুষগুলোর।

২ জুন রবিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে, ৭২ বছরের কাশেম চৌকিদারের আর্তি, ‘বইন্যা মোর সবকিছু লইয়া গ্যাছে, এহন ক্যামনে বাইচ্চা থাকুম’। জানা গেলো, রিমালের মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। আবুল কাশেম নামে আরেকজন জানান, ‘বইন্যার দিন বিয়াল (বিকেল) বেলা বউ আর নাতিকে ওয়াপদার উফড়ে থুইয়া ঘরের মালামাল আনতে গেলে, মুই যাইয়া আর কিছুই পাই নাই। নদীর জোয়াইরা পানিতে মোর বাড়ি ঘর হগল কিছু ভাষাইয়া লইয়া গেছে। ঘরে আধা বস্তা চাউল ছিল, তাও লইয়া গেছে পানিতে’। এছাড়াও ঘর-বাড়ি হারিয়ে তিন সদস্যের একটি পরিবার ঠাঁই নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে। বসে আছেন ঘরের খালি জায়গায় তক্তা পেতে। ত্রাণ সহায়তার কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, ‘বইন্যার পর থেকে এহন তামাইত (পর্যন্ত) অল্পটু চিড়া আর গুড় পাইছি। আর কিছুই পাই নাই। আশে পাশের বাড়ি ঘর থাইক্যা কিছু খাওন (খাবার) দিছিল। এহন মুই কি দিয়া কি করমু। ঘরের চাউল কিনমু ক্যামনে আর ঘর তুলমু ক্যামনে’। রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. হাফিজুর রহমান জানান, বন্যার পর সহায়তা হিসেবে চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দুই টি মোমবাতি, গ্যাসলাইট ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, গলাচিপা উপজেলায় ৯৪৭টি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। গলাচিপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস জানান, ত্রাণ এখনও আসে নাই। পাওয়া মাত্রই বিতরণ করা হবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, আশেপাশে উপজেলার ত্রাণ আসলেও গলাচিপা উপজেলায় এখনও আসেনি।


আরও খবর পড়ুন: