জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদক: পটুয়াখালী সদর উপজেলার ১০ নং ভুরিয়া ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের অটোরিক্সা চালক রেজাউল বয়াতি হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিহতের পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় পটুয়াখালী-বাউফল-দশমিনা মহাসড়কের কাশিপুর স্লুইস গেট নানক এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে স্লুইজগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে কাশিপুর বজারে গিয়ে বাজারের বিভিন্ন সড়ক ও এলাকা প্রদক্ষিন করে। এ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন নিহত রেজাউল বয়াতির বাবা নুরুল হক বয়াতি, মা সালেহা বেগম, স্ত্রী শিরিন আক্তার, দুই শিশু সন্তান আয়শা বেগম, ও সিফাত বয়াতি, বড় ভাই ও মামলার বাদী খোকন বয়াতি, বড় ভাবী খাদিজা বেগম, ছোট ভাই রুবেল বয়াতী, মামা মোঃ রিয়াজ, নানা চান্দু ফকির। মানববন্ধকালে আরো বক্তব্য রাখেন ভুরিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, হেলাল বয়াতী, মনির ব্যাপারী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আটোরিক্সার ব্যাটারী ও পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য গত ২ সেপ্টেম্বর একই গুচ্ছ গ্রামের অটোরিকশা চালক ফায়জুল নিজের গাড়ি গ্যারেজে রেখে রেজাউলের অটোরিক্সায় সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে। রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশ শৌলা এলাকায় রেজাউলের অটোটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পায়। পুলিশ সন্দেহজনক হিসেবে ফায়জুলকে জিজ্ঞাসা করলে নিজের কথায় নিজে ধরা পড়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে জৈনকাঠী সংলগ্ন লোহালিয়া নদীতে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ফায়জুলের তথ্যানুযায়ী লোহালিয়ার শৌলা গ্রামের আকন বাড়ী জামে মসজিদের কার্নিস থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা একটি ছুরি এবং অটোরিক্সার ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়। ব্যাটারী ও পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য রেজাউলকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি ফায়জুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।