মো: রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত টাকা আদায়, সেচ্ছাচারিতা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাযোসে নানা অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এসব অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকেরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। তারা আরও জানান, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদেরকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে সভাপতির আত্মীয় স্বজন নিয়োগ দেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়, ভুয়া বিল করে টাকা আত্মসাত, উপবৃত্তিতে অনিয়মসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি শুরু করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকলে ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীরা প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদের পদত্যাগসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, অনিয়ম নিয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে উল্টো রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হুমকি-ধামকি ও মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হতো।
সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আমলে নিয়ে অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। এসব কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং মুরাদিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তবে ওইদিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাননি।
তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বলেন, স্কুলের উন্নয়নে বরাদ্দ দেয় সরকার এবং কাজ করে ইঞ্জিনিয়ার। এগুলো আমার সংশ্লিষ্ট নয়। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তৎকালীন সভাপতিরা যেভাবে নির্দেশনা দিতেন আমি তাই পালন করতাম। মূলত স্থানীয় কিছু কুচক্রী লোকজন এমন অবস্থায় আমাকে চাপে রেখে আমার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্কুলের বর্তমান সভাপতি শাহিন মাহমুদ ডেইলি বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। আপাতত কেউ কোন ইন্টারফেয়ার করবেনা। যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে। অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।