মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকীতে তরমুজের বাম্পার ফলন, চৈত্রের দাবদাহ এবং রমজান মাসকে ঘিরে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে লেগেছে হাসির ঝিলিক।
ইতিমধ্যে ক্ষেতের তরমুজ পরিপক্ক ও বড়ো সাইজের হওয়ায় বিক্রি শুরু করেছেন চাষীরা। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বেশ লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৫ হেক্টর। তবে তার চেয়ে অনেক বেশি চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে আগের তুলনায় এবছর তরমুজের চাষ বেশি হয়েছে। তবে বেশিরভাগ কৃষকরা গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙাবালি, আমখোলা ও বরগুনা থেকে এসে জমি লিজ নিয়ে তরমুজের চাষ করেছেন। দুমকী উপজেলার চরাঞ্চলে তরমুজ চাষের উপযোগী জমি, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও ভালো সেচ ব্যবস্থার কারণে দূরদুরান্ত থেকে এখানে এসে তরমুজ চাষ করেন বলে জানান ওই কৃষকরা। আগাম জাতের তরমুজ ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। পাইকার ও আড়তদাররা ক্ষেতে এসে কৃষকদের কাছ থেকে ক্ষেত ও শত চুক্তিতে কিনে ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন। সরেজমিনে দক্ষিণ শ্রীরামপুরের তরমুজ চাষি জসিম উদ্দিন ও রুহুল আমিনের ক্ষেতে গিয়ে দেখা হল বরগুনা থেকে আসা এক পাইকারের সাথে। তিনি জসিম উদ্দিনের ৭০ শতাংশ জমির তরমুজ কিনেছেন দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায়। আলগী’র অপর এক কৃষক জানান, আগাম জাতের তরমুজ প্রতিশত তরমুজ পনের থেকে ষোল হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। দক্ষিণ মুরাদিয়া ভক্ত বাড়ি চরের কৃষকরা জানান, এবছর তাদের ফলন ভালো হয়নি তবে মুলধন বাদে সামান্য লাভ হতে পারে।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে তরমুজের পসরা সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছে ব্যবসায়িরা। ব্যবসায়িরা জানান কয়েক দফা হাত বদলের পর তাদের আড়ৎ থেকে বেশি দামে ক্রয় করে পরিবহন খরচ দিয়ে এনে বিক্রি করতে হয়।
এদিকে ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, পরিবারের সদস্যদের আবদার ও রমজান উপলক্ষে চড়া দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন সাউথ বিডি নিউজ ২৪- কে বলেন, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল ও এর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন এর চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি আরো চাষ বাড়ানোর। তবে কিছু কিছু কৃষক কৃষি বিভাগের পরামর্শ না মানার কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।