• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

দুমকীতে জমিজমার বিরোধে অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ

মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালীঃ / ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন

মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকীতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোন শিক্ষিকা রোজিনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহারের (নাজমা) বিরুদ্ধে। তবে ঝগড়াঝাঁটি মিমাংসা করতে গিয়ে উল্টো হামলার স্বীকার হয়েছেন এমন দাবি করেন অভিযুক্ত মজিবুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পাতাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মো: মেনহাজ হাওলাদারের ছেলে মো. মাসুদ হোসেনের স্ত্রী এবং অপর ভুক্তভোগী রোজিনা আক্তার সম্পর্কে মাসুদ হোসেনের শ্যালিকা। তারা উভয়ই উপজেলার জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

অভিযুক্ত মজিবুর রহমান উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত. ইউনুস আলী হাওলাদারের একমাত্র মেয়ে নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা’র স্বামী। পেশায় মজিবুর রহমান একটি সেনা ক্যান্টনমেন্টের বাবুর্চি।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে অভিযুক্ত নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা চাচতো ভাই মাসুদ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার বোন রোজিনা আক্তারের সাথে জমিজমার বিরোধে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। পরে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজমা ভুক্তভোগীদের বসত বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরবর্তিতে মাসুদ হোসেনের ২ ভাই ও ২ ভাতিজা মজিবর রহমানকে ধাওয়া করে প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের রান্না ঘরে একা পেয়ে মজিবুর রহমানকে মারধর করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মালা বেগম বলেন, আমার স্বামীর নাম ধরে সাবিনা ও রোজিনা ডাক চিৎকার করে। ঘটনা স্থলে গিয়ে আমি দেখি ব্যাড়ের পানি ঘোলা, জুতা ও ওড়না পানিতে ভাসতেছিলো। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, নাজমুন নাহার নাজমা’র কোন ভাই বোন নেই। তার বাবা জীবিত থাকতেই ব্রাদারি ভাগ তার ভাইয়ের ছেলেদের লিখে দিয়েছিলেন। সেগুলো হয়ত এখন নাজমুন ফেরত চায় এবং তাদের মাঝে মামলা মোকদ্দমা ও সালিশ চলমান রয়েছে।

জানতে চাইলে আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর জানান, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত থানায় যারা অভিযোগ করেছেন তারাই মারধর করেছে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


আরও খবর পড়ুন: