জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ১৮ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আরিফুর রহমান ওরপে ঘুডু আরিফকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজ রোডে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ আরিফুর রহমান ওরফে ঘুডু আরিফকে ১৮ বছর পর ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী থানা পুলিশ।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাজেদুল ইসলাম সজল জানিয়েছেন, পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশের এসআই রুবেলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা র্যাব-১ ক্যাম্পের একদল র্যাব সদস্যের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে আশুলিয়ার মাছের আরত সংলগ্ন পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আরিফকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
পটুয়াখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০০৯ সালের ২৫ জুন রাতে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ রোড এলাকায় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের হয় (জিআর নং: ৫৬৫/০৯)। মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচারিক কার্যক্রম শেষে ১৮ বছর আগে পটুয়াখালীর বিজ্ঞ আদালত আরিফুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এ রায় ঘোষণার পর আরিফ আত্মগোপনে চলে যান এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থান পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়ান। গত ১০ বছর তিনি আশুলিয়ায় ‘বাপ্পী’ নামে ছদ্ম পরিচয়ে বসবাস করছিলেন। নিজের নতুন পরিচয়কে বিশ্বাসযোগ্য করতে নিজের হাতে ‘বাপ্পী’ নামে ট্যাটুও করেন।
থানা থেকে প্রদানকৃত তথ্যমতে, “তার চলাফেরা ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। তিনি মাঝে মধ্যে পটুয়াখালী আসতেন এবং রাতের আঁধারে আবার ফিরে যেতেন। দীর্ঘ গোয়েন্দা নজরদারির পর তাকে সনাক্ত করে আটক করা সম্ভব হয়।”
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সাজাপ্রাপ্ত ঘুডু আরিফ একসময় তিনি পটুয়াখালী শহরে একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত পৃথক একটি মামলায় (জিআর নং: ৫৪৩/১১, পটুয়াখালী) তিন বছরের সাজার রায় রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আজ শুক্রবার গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।