1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বাউফলে দু*র্বৃত্তের দেয়া আ*গুনে পু*ড়ে ছাই গরু-ছাগলসহ অর্ধশত হাঁস-মুরগি পটুয়াখালীতে বিয়ে নিয়ে কথা কা*টাকা*টি; সংঘ*র্ষে নিহ*ত-১; গ্রে*ফতার-১ বাউফলে খেড়ের কুড়ের পাশে নিখোঁজ যুবকের লা*শ পটুয়াখালীতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ভূমি উপ-সহকারি বাপ্পির মৃত্যুতে দোয়া ও স্মরনসভা অনুষ্ঠিত  বাউফলে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ ‘বাউফল সাংবাদিক ক্লাব’ এর কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে পটুয়াখালীতে ইমাম পরিষদের সংবাদ সম্মেলন  বাউফলে সেই সংঘ*র্ষে আ*হ*ত বৃদ্ধের অবশেষে মৃ*ত্যু পটুয়াখালীতে বিভিন্ন আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত

দশমিনায় ইউপি সদস্যের উস্কানিতে নৌ-পুলিশকে ধাওয়া

অন্তর দাস, দশমিনা, পটুয়াখালীঃ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

অন্তর দাস, দশমিনা, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় অভিযান পরিচালনাকালে এক ইউপি সদস্যের ইন্ধনে তার অনুসারীরা নৌপুলিশকে ধাওয়া করার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূণী গ্রামের বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে একই এলাকার ০৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন ৩-৪টি অবৈধ বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরায়। নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ওই ইউপি সদস্য কয়েকজন স্থানীয় জেলেকে দিয়ে অবৈধ বাঁধা জাল দিয়ে মাছ ধরিয়ে আসছে। এতে অজস্র পরিমাণে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে ওই ইউপি সদস্যের উস্কানিতে দুটি ট্রলারে করে অর্ধশতাধিক লোক তাদের ধাওয়া করে। নৌ-পুলিশের জনবল কম থাকায় তারা জাল ছেড়ে চলে আসে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক জেলে বলেন, আমরা নদীতে ঠিকমতো জাল ফেলতে পারিনা বাঁধা জালের কারনে। জোয়ার ভাটায় আমাদের জাল ওই অবৈধ বাঁধা জালের উপর উঠে ব্যাপক ক্ষতি হয়। আমাদের ইউপি সদস্যের দাপটে এবং তার ছত্রছায়ায় তিনটি অবৈধ বাঁধা জাল ফেলে রাখে। আমরা নিরুপায়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্যকে বললে তিনি হুমকি-ধামকি দেন। আজ নদীতে অবৈধ জাল অপসারনে নৌ-পুলিশ অভিযান চালালে আমাদের ইউপি সদস্য তাদের সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের তাড়াতে হুকুম দেয়।

বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন বলেন, “আমি বাজারে ছিলাম। ঘটনা শুনে নদীর পাড়ে আসি। এসে দেখি অনেক লোক। নদীতে নৌ-পুলিশ জাল টানছে। আমি কাউকে উস্কানি দেইনি। নৌপুলিশকে ফোন করেছি জনপ্রতিনিধি হিসাবে।”

দশমিনা নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপুলিশ পরিদর্শক আশরাফুল জানান, “তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে অবৈধ রাক্ষুসে বাঁধা জাল অপসারনে অভিযান পরিচালনা করলে চরঘূনী নদীতে তিনটি অবৈধ বাঁধা জালে একই সাথে মাছ ধরতে দেখে জাল উঠানোর চেষ্টা করলে অসংখ্য জেলেরা আমাদের ধাওয়া দেয়। তাৎক্ষণিক আমরা ওই স্থান থেকে চলে আসি। জাল উঠানোর সময় চরঘূণীর ইউপি সদস্য মোশারেফ আমাকে ফোন করে জাল রেখে যেতে বলে। আমি তার কথা শুনি নাই। তার পরই দুটি ট্রলার অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে আমাদের দিকে আসে। আমরা জাল রেখে চলে আসি। অবৈধ বাঁধা জাল যারা নদীতে ফেলে এবং এতে যারা সহযোগিতা করে তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না সে যতই শক্তিশালী হোক।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট