• বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে তিন প্রার্থীর জন্য হাতপাখায় ভোট চাইলেন চরমোনাইর পীর সৈয়দ ফয়জুল করিম চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ

ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইলিয়াসের পরিবারে শোকের মাতম; “ছাত্র-জনতার বিজয় দেইখ্যা যাইতে পারলে আত্মায় শান্তি পাইতো”

বি এম বেলাল, গৌরনদী, বরিশালঃ / ১২৮ বার পড়া হয়েছে
Update : বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

বি এম বেলাল, গৌরনদী, বরিশালঃ “কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় দেইখ্যা মরতে পারল না। ছাত্র-জনতার বিজয় দেইখ্যা যাইতে পারলে মোর বাবার আত্মা শান্তি পাইতো। আইজগো মোর বাড়িতে কত বাবায় আইছে, হ্যাগো লগে মোর বাবায় নাই। আইজ সব ঠিক অইয়া গ্যাছে, মোর পোলাডা বাইচ্চা নাই। অসুস্থ মোর স্বামীরে কেডা দেখবে, কিভাবে মুই বাঁচমু, মোগো কেডা দেখবে।” বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগষ্ট ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর চৌরাস্তা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইলিয়াস খানের মা রেখা বেগম (৫৫)। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল কর্মী ইলিয়াস খান ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার সকালে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। গত রমজান মাসে সে (ইলিয়াস) ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়ে বন্ধুদের সাথে ম্যাসে থেকে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে আসছিল। নিহত ইলিয়াসের লাশ জানাজা শেষে গত ৯ আগস্ট বাদ আছর পশ্চিম শাওড়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সে (ইলিয়াস) গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের পশ্চিম শাওড়া গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় ফারুক খান (৬৫) ও রেখা বেগমের (৫৬) ছেলে। ৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ইলিয়াস ছিল সবার ছোট। ইলিয়াসের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

নিহত ইলিয়াস খানের বড় ভাই মোঃ মহসিন খান কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার ভাই ইলিয়াস মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার পরে দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি। আমার ভাই একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছিল। গত দেড় বছর পূর্বে আমার ভাই ধারদেনা করে মোল্লাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা একাধিকবার আমার ভাই ইলিয়াকে মারধর করে। এমনকি দোকানের ইলেকট্রিক মালামাল জোরপূর্বক নিয়ে যেত। এরপর আমার ভাই গত রমজানের আগে দোকান ছেড়ে দিয়ে রমজান মাসে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়ে বন্ধুদের সাথে ম্যাসে থেকে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করত। ঢাকায় ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ইলিয়াস ওই আন্দোলনে যোগ দেয়। সর্বশেষ গত ৩ আগষ্ট ফোনে আমাকে জানায়, “ভাই আমি আন্দোলনে আছি, যদি মারা যাই মা-বাবাকে দেখে রেখো। আর যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখা হবে। আমার শত শত ভাই প্রাণ দিচ্ছে আমি একা বেঁচে থেকে কি হবে। তুমি দোয়া কইর, আমরা যেন দেশ স্বাধীন করতে পারি”।

মহসিন খান আরো বলেন, গত ৪ আগষ্ট বিকেল ৫টার দিকে মোহাম্মদপুর চৌরাস্তায় আন্দোলনে গিয়ে ইলিয়াসের মাথার ডান পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তার একটি চোখ বের হয়ে গিয়েছিল। মুমূর্ষু অবস্থায় ইলিয়াসকে উদ্ধার করে সহযোদ্ধা মুলাদী উপজেলার মোঃ নয়ন তাৎক্ষনিক ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে তাকে (ইলিয়াস) ভর্তি করে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম ইমরান ফোন করে ইলিয়াস গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আমাকে জানায়।


আরও খবর পড়ুন: