1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
রেটিনা প্লাস নার্সিং ভর্তি কোচিং পটুয়াখালী শাখার ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অ*গ্নিকা*ন্ডে কসমেটিক্সের একটি দোকান ভ*স্মি*ভূত  বাউফলে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চলা মানববন্ধন পন্ড রহস্যময় ঐতিহ্যবাহী শাহ সূফী হযরত ইয়ারউদ্দীন খলিফা (রঃ) মাজার ও জীবনী পটুয়াখালীতে কৃষি কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবীতে কৃষক-কৃষানীদের মানববন্ধন পটুয়াখালীতে গণধ*র্ষণে*র শিকার এক তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বাউফলে দু*র্বৃত্তের দেয়া আ*গুনে পু*ড়ে ছাই গরু-ছাগলসহ অর্ধশত হাঁস-মুরগি পটুয়াখালীতে বিয়ে নিয়ে কথা কা*টাকা*টি; সংঘ*র্ষে নিহ*ত-১; গ্রে*ফতার-১ বাউফলে খেড়ের কুড়ের পাশে নিখোঁজ যুবকের লা*শ পটুয়াখালীতে হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইলিয়াসের পরিবারে শোকের মাতম; “ছাত্র-জনতার বিজয় দেইখ্যা যাইতে পারলে আত্মায় শান্তি পাইতো”

বি এম বেলাল, গৌরনদী, বরিশালঃ
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বি এম বেলাল, গৌরনদী, বরিশালঃ “কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় দেইখ্যা মরতে পারল না। ছাত্র-জনতার বিজয় দেইখ্যা যাইতে পারলে মোর বাবার আত্মা শান্তি পাইতো। আইজগো মোর বাড়িতে কত বাবায় আইছে, হ্যাগো লগে মোর বাবায় নাই। আইজ সব ঠিক অইয়া গ্যাছে, মোর পোলাডা বাইচ্চা নাই। অসুস্থ মোর স্বামীরে কেডা দেখবে, কিভাবে মুই বাঁচমু, মোগো কেডা দেখবে।” বিলাপ করে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগষ্ট ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুর চৌরাস্তা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইলিয়াস খানের মা রেখা বেগম (৫৫)। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল কর্মী ইলিয়াস খান ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার সকালে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। গত রমজান মাসে সে (ইলিয়াস) ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়ে বন্ধুদের সাথে ম্যাসে থেকে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করে আসছিল। নিহত ইলিয়াসের লাশ জানাজা শেষে গত ৯ আগস্ট বাদ আছর পশ্চিম শাওড়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সে (ইলিয়াস) গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়নের পশ্চিম শাওড়া গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় ফারুক খান (৬৫) ও রেখা বেগমের (৫৬) ছেলে। ৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ইলিয়াস ছিল সবার ছোট। ইলিয়াসের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।

নিহত ইলিয়াস খানের বড় ভাই মোঃ মহসিন খান কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার ভাই ইলিয়াস মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার পরে দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে অর্থাভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি। আমার ভাই একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আসছিল। গত দেড় বছর পূর্বে আমার ভাই ধারদেনা করে মোল্লাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা একাধিকবার আমার ভাই ইলিয়াকে মারধর করে। এমনকি দোকানের ইলেকট্রিক মালামাল জোরপূর্বক নিয়ে যেত। এরপর আমার ভাই গত রমজানের আগে দোকান ছেড়ে দিয়ে রমজান মাসে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় গিয়ে বন্ধুদের সাথে ম্যাসে থেকে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করত। ঢাকায় ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ইলিয়াস ওই আন্দোলনে যোগ দেয়। সর্বশেষ গত ৩ আগষ্ট ফোনে আমাকে জানায়, “ভাই আমি আন্দোলনে আছি, যদি মারা যাই মা-বাবাকে দেখে রেখো। আর যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখা হবে। আমার শত শত ভাই প্রাণ দিচ্ছে আমি একা বেঁচে থেকে কি হবে। তুমি দোয়া কইর, আমরা যেন দেশ স্বাধীন করতে পারি”।

মহসিন খান আরো বলেন, গত ৪ আগষ্ট বিকেল ৫টার দিকে মোহাম্মদপুর চৌরাস্তায় আন্দোলনে গিয়ে ইলিয়াসের মাথার ডান পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তার একটি চোখ বের হয়ে গিয়েছিল। মুমূর্ষু অবস্থায় ইলিয়াসকে উদ্ধার করে সহযোদ্ধা মুলাদী উপজেলার মোঃ নয়ন তাৎক্ষনিক ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে তাকে (ইলিয়াস) ভর্তি করে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম ইমরান ফোন করে ইলিয়াস গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আমাকে জানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট