বি এম বেলাল, গৌরনদী, বরিশালঃ বরিশালের গৌরনদী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির ও বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল হালদারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে ফের দ্বিতীয়বার আবার আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা।
ইনষ্টিটিউটের ৬ষ্ট সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী উত্তম হালদার, আবির হোসেন, আরিফ হোসেন, রাফি ও অন্তরা আক্তার জানান, ছাত্র আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে স্বৈরাচার পতনের। স্বৈরাচারের দোষর আমাদের প্রতিষ্ঠানে সকল প্রকার দূর্নীতির লিড দিয়ে বাস্তবায়নকারী এই ইনষ্টিটিউট প্রধানের পতনের জন্য আমাদের এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাবো। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবিরের দূর্নীতির উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ, দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে সনদ আটকে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের পরিবারকে হয়রানিসহ আর্থিক অস্বচ্ছতা, ভর্তির সময় মেডিকেল ফি বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর থেকে ২শো টাকা করে নেয়া হলেও কোনও প্রকার মেডিকেল সুবিধা দেয়া হয়না। ধর্মীয় অনুষ্ঠান না করেও ৩শো করে নেয়া, রশিদে উল্লেখ না করে স্কাউট বাবদ শো করে নেয়া, ভর্তি বাতিলের জন্য থেকে ১০হাজার করে টাকা নেয়া, বাধ্যতামূলক কলেজ ড্রেস প্রিন্সিপালের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করা, অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা দেয়ার নামে প্রত্যেকের থেকে ৩হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া, শিক্ষার্থীদের খাবারের হোস্টেল থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান না করেও ফি আদায়, রশিদে উল্লেখবিহীন আয়া বুয়াদের নাম করে টাকা আদায়, বহিরাগতদের দিয়ে হোস্টেল পরিচালনা করে নিজ স্বার্থ হাসিল করা, প্রাক্টিকাল শিক্ষা দেয়ার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়, আসনসংখ্যার দিগুনেরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে নিজ পকেট ভারি করা, ছাত্রাবাসে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সিট বাতিল করা, হোস্টেলে বরাদ্দকৃত সিটের থেকে অতিরিক্ত সিট দিয়ে টাকা আত্নসাৎ করা, প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের টাকা আত্নসাৎ ,হোস্টেলে অধিক সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে নিজের রুমে সার্বাক্ষনিক এসি (এয়ার কন্ডিশন্ড) সুবিধা ভোগ করা, প্রিন্সিপালের আত্বিয়স্বজনদের আলাদা সুবিধা দেয়া, প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত না থাকা, নবীন বরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করলেও অনুষ্ঠান ঢিলেঢালাভাবে সম্পন্ন করা, ছাত্রী হোস্টেলে সুপেয় পানী না থাকায় পানিবাহিত রোগে ভুগছেন ছাত্রীরা, এসব বিষয়ে যে সকল শিক্ষার্থীরা রুখে দ্বাড়াবে তাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিতারিত করার হুমকি অব্যাহত রাখা।
এ বিষয়ে জানতে ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমার কাছে ২২টি বিষয় অভিযোগ তুলে ধরেছে যাহার সঠিক সমাধান আমি শিক্ষার্থীদের দিয়েছি।
বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল হালদারের পদত্যাগের একদফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দেলনের নেতৃবৃন্দ মো. তানভীর হোসেন জানান, বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল হালদার নিয়মিত ক্লাসে আসেন না, তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরিক্ষার খাতায় নাম্বার কম দেয়া, ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেয়া, দীর্ঘ বছর যাবত টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য থাকা সত্বেও মেরামত না করা, মুসলিম শিক্ষার্থীদের আঁরচোখে দেখা ও শারিরীক ও মানষিক টর্চার করাসহ বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবীতে রবিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ে এ বিক্ষেভ করেন।
এ বিষয়ে জানতে বাকাই নিরাঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল হালদার বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহিন, কোন একটি মহল আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে আমাকে হ্যারেজ করা হচ্ছে।