• মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের জমি দখল ও প্রা*ণনা*শের হু*মকির অভিযোগ

কালের বিবর্তনে পটুয়াখালী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালীঃ / ৮০২ বার পড়া হয়েছে
Update : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালী: পটুয়াখালী থেকে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খেজুরের রস। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে খেজুর রসের মতো আরো অনেক কিছু। খেজুর গাছিদের এখন আর নেই আগের মত কোন ব্যস্ততা। নেই কোন তাড়া। আগের মতো দেখা যায় না কে বা কারা খেজুরের রস কার আগে সংগ্রহ করতে পারে এমন কোন প্রতিযোগিতা। এভাবেই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেজুরের রস।

গ্রামগঞ্জে আগের মতো খেজুরের গাছও দেখা যায় না। এক সময়ে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামগঞ্জের মানুষ গাছ ছিলানো (গাছ কাটা) নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। কে কার আগে খেজুর গাছ কেটে প্রকৃতির সেরা উপহার সমূহের মধ্যে অন্যতম খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে এ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়তেন। এক সময় খেজুরের রসে তৈরি নানা প্রকার পিঠা-পায়েস ছিল দক্ষিণাঞ্চলের সব শ্রেণির মানুষের নবান্নের সেরা খাদ্য সামগ্রী। খেজুর রস দিয়ে অল্প সময়ে তৈরি করা হতো পাটালি গুড়, ভীড় মিঠাসহ নানা রকমের মজার মজার খাবার। সময়ের বিবর্তনে আজ পটুয়াখালীর প্রতিটি গ্রাম গঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় সব ধরণের গাছ মাটিতে শুইয়ে দেয়। এসময় অনেক খেজুর গাছ মারা যায়।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের মোঃ আনসার জমাদ্দার বলেন, আমি লোহালিয়ায় প্রায় ৫০টির উপরে খেজুর গাছ কাটতাম তাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কলস রস পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে খেজুর গাছ না থাকায় এ বছর দশটি খেজুর গাছ কেটেছি তাতে সবে মাত্র ১ থেকে ২ হারি খেজুর রস পাই। আগের মতো তেমন রস হয় না।

এক শ্রেণির ইটভাটা মালিকরাও ইট পোড়ার কাজে খেজুর গাছ ব্যবহার করায় খেজুর গাছ দ্রুত হারিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করে দেয়। ফলে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে খেজুর রস ও গুড় দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। আজ থেকে ১৫-২০ বছর পূর্বেও বাউফল, কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, দুমকি ও রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতো গাছিরা। গত ২০ বছর ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দেয়ায় রস পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। ফলে দিনে দিনে খেজুর রস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামগঞ্জের মানুষ। কয়েক বছর আগেও শীত মৌসুমে খেজুর রসের তৈরি নানা প্রকার পিঠা-পায়েসসহ সুস্বাদু নবান্নের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে উৎসাহ ও আনন্দের মধ্যে নবান্নকে বরণ করত এ অঞ্চলের মানুষজন। এখন আর খেজুর রস না পাওয়ায় নবান্নের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।


আরও খবর পড়ুন: