1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গৌরনদীতে জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলন ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে শ্রীগুরু সঙ্ঘের বস্ত্র বিতরণ পটুয়াখালীতে শ্রীগুরু সঙ্ঘের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত দুমকিতে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কর্তৃক বোনকে হ*ত্যার অভিযোগ বাউফলে ভাইয়ের! পটুয়াখালীতে কিন্ডার গার্টেন স্কুল সমূহের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ গৌরনদীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি; যান চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি জাতীয়করনের দাবীতে পটুয়াখালীতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন কুয়াকাটা সৈকত থেকে ২ ব্যক্তির লা*শ উদ্ধার বাউফলে পরকিয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে কু*পিয়ে হ*ত্যা, শিশু সন্তান নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর মসজিদের ইমামের কাছে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির চাঁদা দাবি, অতপর গ্রেফতার

কালের বিবর্তনে পটুয়াখালী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালীঃ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু), পটুয়াখালী: পটুয়াখালী থেকে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খেজুরের রস। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে খেজুর রসের মতো আরো অনেক কিছু। খেজুর গাছিদের এখন আর নেই আগের মত কোন ব্যস্ততা। নেই কোন তাড়া। আগের মতো দেখা যায় না কে বা কারা খেজুরের রস কার আগে সংগ্রহ করতে পারে এমন কোন প্রতিযোগিতা। এভাবেই দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় খেজুরের রস।

গ্রামগঞ্জে আগের মতো খেজুরের গাছও দেখা যায় না। এক সময়ে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামগঞ্জের মানুষ গাছ ছিলানো (গাছ কাটা) নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। কে কার আগে খেজুর গাছ কেটে প্রকৃতির সেরা উপহার সমূহের মধ্যে অন্যতম খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে এ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়তেন। এক সময় খেজুরের রসে তৈরি নানা প্রকার পিঠা-পায়েস ছিল দক্ষিণাঞ্চলের সব শ্রেণির মানুষের নবান্নের সেরা খাদ্য সামগ্রী। খেজুর রস দিয়ে অল্প সময়ে তৈরি করা হতো পাটালি গুড়, ভীড় মিঠাসহ নানা রকমের মজার মজার খাবার। সময়ের বিবর্তনে আজ পটুয়াখালীর প্রতিটি গ্রাম গঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় সব ধরণের গাছ মাটিতে শুইয়ে দেয়। এসময় অনেক খেজুর গাছ মারা যায়।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের মোঃ আনসার জমাদ্দার বলেন, আমি লোহালিয়ায় প্রায় ৫০টির উপরে খেজুর গাছ কাটতাম তাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কলস রস পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে খেজুর গাছ না থাকায় এ বছর দশটি খেজুর গাছ কেটেছি তাতে সবে মাত্র ১ থেকে ২ হারি খেজুর রস পাই। আগের মতো তেমন রস হয় না।

এক শ্রেণির ইটভাটা মালিকরাও ইট পোড়ার কাজে খেজুর গাছ ব্যবহার করায় খেজুর গাছ দ্রুত হারিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করে দেয়। ফলে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে খেজুর রস ও গুড় দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। আজ থেকে ১৫-২০ বছর পূর্বেও বাউফল, কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, দুমকি ও রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতো গাছিরা। গত ২০ বছর ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর গাছের সংকট দেখা দেয়ায় রস পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। ফলে দিনে দিনে খেজুর রস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামগঞ্জের মানুষ। কয়েক বছর আগেও শীত মৌসুমে খেজুর রসের তৈরি নানা প্রকার পিঠা-পায়েসসহ সুস্বাদু নবান্নের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে উৎসাহ ও আনন্দের মধ্যে নবান্নকে বরণ করত এ অঞ্চলের মানুষজন। এখন আর খেজুর রস না পাওয়ায় নবান্নের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট