• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

কমলাপুরের জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ / ১১৬ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মধ্য চরমৈশাদী জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুইদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এ আয়োজনের পর্দা নামে। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মৃধা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শামিম মিয়া, যিনি অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।

এসময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও দক্ষিণ ধরান্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের নির্বাহী পরিচালক জহিরুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল হাকিম শরীফ, বিঘাইহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, শহীদ স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মহীন্দ্র চন্দ্র দত্ত, উত্তর মৌকরণ এএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, ফজলুল করিম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শামিম হোসেন, কুড়িপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, আমতলীর কলাগাছিয়া ইউনুস আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র হাওলাদার, ফজলুর করিম মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম, দক্ষিণ ধরান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আমিনুল ইসলাম, চরমৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, মধ্য চরমৈশাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খালেদা বেগম ও সাংবাদিক শাহিন খান প্রমুখ।

দুইদিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, বিস্কুট দৌড়, বল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়, দলীয় সংগীত এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে।
বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথি আব্দুস ছালাম মৃধা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চা শিক্ষার্থীদের সুস্থ মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে, তাই তাদের দক্ষতা বিকাশের জন্য এমন আয়োজন নিয়মিত করা প্রয়োজন।”

পৃষ্ঠপোষক প্রকৌশলী শামিম মিয়া বলেন, “শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক। শিক্ষার্থীদের মেধা ও শারীরিক দক্ষতা বিকাশে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখবে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমি সবসময় পাশে থাকব এবং ভবিষ্যতেও যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন খান বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তাদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও পারদর্শী হতে হবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন আরও বড় পরিসরে করার আহ্বান জানান।

দুইদিনব্যাপী এ আয়োজনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণ, অতিথিদের উপস্থিতি ও উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। আয়োজনটি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।


আরও খবর পড়ুন: