মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: ঈদের দিন দিবাগত রাতে পিকনিক শেষে পূর্বশত্রুতার জেরে গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকীতে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাতেম সিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরুল সিকদারের ছেলে রুমান সিকদার, মৃত. মকবুল সিকদারের ছেলে বাচ্চু সিকদার, মৃত. ছিদ্দিক সিকদারের ছেলে তাসিন সিকদার, মৃত. হাবিবুর রহমান সিকদারের ছেলে সুলেমান সিকদার ও রুহুল আমীন সিকদারের ছেলে সজীব সিকদার।
জানা যায়, মৃত. ফজলুল হক সিকদারের ছেলে জহিরুল সিকদার এবং উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চরবয়েড়া গ্রামের মো. কাওসার মৃধা ওরফে আকাশ ঢাকায় অংশীদারত্বের ভিত্তিতে গাড়ির শোরুমের ব্যবসা করেন। ঈদে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে জহিরুল সিকদার দক্ষিণ মুরাদিয়ায় নিজ বাড়ির বসত ঘরের সামনে নোহা (ঢাকা মেট্রো-চ /১২-৪২৪৫) নম্বরের একটি গাড়ি পার্কিং করে রাখেন। এদিকে ঘটনার দিন রাতে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই বাড়ির উঠানে রাতে শর্ট পিচ ক্রিকেট খেলে এবং পিকনিকের আয়োজন করে।
ভুক্তভোগী জহিরুল সিকদারের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, “হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে উঠে বাইরে টর্চ মেরে দেখি কয়েকজন যুবক গাড়ি ভাংচুর করছে। পূর্বেও আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলো, এখনো সে মামলা চলে। জীবন নাশের হুমকির জন্য রাতে ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।” তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ঘর নির্মানে বাধা দিয়ে রেখেছে প্রতিপক্ষ ছিদ্দিক সিকদার গং। আমারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে তাহসিন শিকদার বলেন, “এটা সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা কথা, বানোয়াট কথা, সংবাদ প্রচারের জন্য এবং আমাদের ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা কথা বলে তারা।” এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. খালেদ নাসির জানান, “জমিজমার বিরোধে এদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা চলামান রয়েছে।”
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, “ঘটনা শুনে সাথে সাথে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি, বের করার চেষ্টা চলছে। আমিও দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান জানান, “ঘটনাটি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”