জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও পারিবারিক আদালতের আদেশে দেন মোহর ও খোরপোষ এবং দুই সন্তানের খোরপোষ না দেওয়ায় বিবাদী আব্দুল আজিজ আহমেদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে ফের গ্রফতারী ওয়ারেন্ট জারি।
জানা গেছে ( নথি সূত্রে), জেলার দুমকি উপজেলার রাজাখালী গ্রামের মোসাঃ নুরুন্নাহার বেগমের সাথে একই উপজেলার চরবয়রা গ্রামের মো. আল আমিনের সাথে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের পূর্ন সম্মতিতে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রেজিঃকৃত কাবিন মূলে ২,৫০,০০০ টাকা অপরিশোধিত মোহরানা ধার্য্যে মাসিক খোরপোষ সময়োপযোগী শর্তে ২৭.০৭.২০০৯ তারিখ বিবাহ হয়। বিবাহের পর আল আমিনের ঔরসে দুটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে। কিন্তু কিছুদিন পর স্বামী আল আমিন স্ত্রী নুরুন্নাহারের কাছে ৬ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। এতে অপরাগতা প্রকাশ করায় স্ত্রী নুরুন্নাহারকে তালাক দেয়ার হুমকি দিলে নুরুন্নাহার দুমকি থানায় একটি জিডি করে।
পরবর্তীতে নুরুন্নাহার আইনগত সহায়তার জন্য জাতীয় লিগ্যাল এইডে ৪.৭.১৯ তারিখ পারিবারিক মোকদ্দমার জন্য আবেদন করলে সংস্থাটি মামলা পরিচালনার জন্য প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেন এবং পটুয়াখালীতে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও পারিবারিক আদালতে নুরুন্নাহার দেনমোহর বাবদ ২,৫০,০০০ টাকা, বিগত ১৩.১০.১৮ ইং হতে ৩.৭.১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত খোরপোষ প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হিসেবে ৯ মাসে ৪৫ হাজার টাকা, দুই শিশু সন্তানের প্রতি মাসে ৮ হাজার করে ৯ মাসে ৭২ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার বাবদ ২ লক্ষ টাকা, নগদ দেয়া ১ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য মালামাল বাবদ ৫০ হাজার মোট ৭ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা বিবাদী আল আমিনের প্রতি পরিশোধের ডিক্রি পাওয়ার দাবী আনয়ন করেন। পারিবারিক মোকদ্দমা নং-৪০/২০১৯।
এ মামলায় বিবাদী আল আমিনের বিরুদ্ধে বাদীর দেনমোহর বাবদ ২,৫০,০০০ টাকা খোরপোষ বাবদ ১২,০০০ টাকা এবং দুই সন্তানের খোরপোষ বাবদ ১২ হাজার টাকা করে ২৪ হাজার টাকা মোট ২লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা প্রাপ্তির আনায়ন করেন। বিবাদী উক্ত পরিমান টাকা পরিশোধ না করায় বিজ্ঞ আদালত ০২.১২.২০২০ ইং তারিখ বিবাদী আল আমিনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। পরবর্তীতে আল আমিন কিস্তি হিসেবে ডিক্রিকৃত টাকা পরিশোধে জামিন লাভ করলেও টাকা পরিশোধ না করায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে উক্ত বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ আসিফ এলাহী ০১.০৯.২৪ ইং তারিখ ফের আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট জারি করেন। এছাড়াও আল আমিনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী শিশু আদালত পটুয়াখালী ৪.০৯.২৪ ইং তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ ধারা মামলায় গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট হয়েছে বলে বাদী নুরুন্নাহার জানান।
উক্ত বিজ্ঞ আদালতের পেশকার আব্দুর রাজ্জাক আল আমিনের নামে গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।