• বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
চাঞ্চল্যকর হ*ত্যা মামলার প্রধান আসামী পলাতক গোবিন্দ ঘরামী র‍্যাবের হাতে গ্রে*ফতা*র বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগ নেতা খায়ের মোল্লা কর্তৃক জমি দখলের প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে সংবাদ সম্মেলন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ / ২৭৭ বার পড়া হয়েছে
Update : বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ খায়ের মোল্লা কর্তৃক ৯.১০.২০২৪ ইং তারিখ মিথ্যা তথ্যের আলোকে প্রদত্ত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মো. জসিম সিকদার রানা তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ২০১৪ সালে কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটার লতাচাপলী মৌজায় এসএ১২৬২/১ খতিয়ান-১৫ এর সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি মো. সায়েদুর গংদের নিকট থেকে ৭৪ লক্ষ টাকা বায়নামূলে একতলা ভবনসহ ক্রয় করি। দলিল সম্পাদনে সরকারি পারমিশন পেতে বিলম্ব হওয়ার সুযোগে গোপালগঞ্জের হাল সাং ৯/( চ) ঢাকাস্থ সেক্রেটারী রোডের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা দুধর্ষ সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এমএ খায়ের মোল্লা উক্ত জমির উপর কুনজর পরে এবং ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে জমিদাতা সায়েদুর রহমানগংদেরকে প্রশাসনের সহায়তায় ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে ঢাকাতে বসে কমিশনের মাধ্যমে ২২ লক্ষ এক হাজার টাকা দর্শাইয়া ৭৯৪/১৭ নং কবলা দলিল সৃষ্টি করে আমার হোটেল জবর দখল করে এবং আমি যাতে বাধা দিতে না পারি, সেজন্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হত্যা-খুনসহ মিথ্য মামলা দিয়ে হয়রানির ভয়ভীতি দেখায়ে হোটেল জবর দখল করে ভেলী হোটেল নাম দিয়ে ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে আওয়ামী লীগ নেতা খালেক মোল্লা।

নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে এম এ খায়ের মোল্লার জোর পূর্বক সৃষ্টিকৃত দলিল বাতিলের জন্য পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেওয়ানী ১৬২/২৪ ইং ১৮.৭.২৪ তারিখে সিভিল মোকদ্দমা দায়ের করি। উক্ত মোকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালত ১৯.০৯.২৪ তারিখে সাক্ষী সাবুদ গ্রহন করে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রায় দেন এবং এম এ খায়ের মোল্লার জোর করে নেওয়া ৭৯৪/২০১৭ নং দলিলখানা বাতিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জসিম সিকদার আরও বলেন, উক্ত আওয়ামী সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এম এ খায়ের মোল্লা গত ইং ০৯.১০.২৪ তারিখে মিথ্যা তথ্যের আলোকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন (ক্রাপ)-এ অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলন করায় এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় বিষয়টি আমার নজরে আসায় এম এ খায়ের মোল্লা কর্তৃক লিখিত ও মৌখিক বক্ত্যবে যা কিছু উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জসিম সিকদার বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিরোধী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন ঐ আওয়ামী সন্ত্রাসী খায়ের মোল্লা সে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে বানচাল করার জন্য গোপালগঞ্জ ও ঢাকা শহরে শাহবাগ এলাকায় পুলিশের সহায়তায় নারকীয় তান্ডব চালায় এবং নেতৃত্ব দেয়। তার হাতে অনেক নিরীহ ছাত্র জনতা খুন হয়। ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে ঐ সন্ত্রাসী খায়ের মোল্লা আত্মগোপনে চলে যায়। শেখ হাসিনার পতনের পরে আমি খায়ের মোল্লাকে দেখি নাই বিধায় তাকে অপহরন করার কোন কারন নাই। এতকিছুর পরেও আমার কাগজপত্র সঠিক থাকা এবং জমি দাতারা আমার পক্ষে থাকা অবস্থায়ও সন্ত্রাসী এম এ খায়ের মোল্লার ভয়ে এবং অব্যাহত হুমকীতে আমার মালিকানাধীন হোটেল পরিচালনা করতে পারছিনা।

তিনি বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন সৈনিক। আমি সব সময় দলের আদর্শকে বুকে লালন করে চলি। আমি ব্যক্তি জীবনে কখনো অন্যায় করিনা এবং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। আমি কখনো আমার দলের সুনাম ক্ষুন্ন হোক এরকম কাজ অতীতে করি নাই এবং ভবিষ্যতেও করার কোন সুযোগ নাই মর্মে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। আওয়ামী সন্ত্রাসী এম এ খায়ের মোল্লা যাদের নিকট থেকে জোর পূর্বক দলিল নিয়েছে সেই ক্ষতিগ্রস্থ সায়েদুর রহমান, আলী হোসেন, মনিরা বেগম আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত আছেন। তাদের মুখ থেকে খালেক মোল্লার জুলুমের বর্ননা শোনবেন এবং সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু এস এ খালেক মোল্লা কর্তৃক অবৈধ দখলে রাখা আমার ক্রয়কৃত একতলা ভবনসহ সাড়ে ১৫ শতাংশ জমি উদ্ধার করতে পারি তার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখার জন্য উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিনীত অনুরোধ করছি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন তার আইনজীবী মো. মহসীন, চাচাতো ভাই ফরিদ সিকদার, ভাতিজা মেহেদী হাসান ও রেজা সিকদার, জমিদাতা সায়েদুর রহমান, মনিরা বেগম, মজিবুল হক ও আলী হোসেন খান।


আরও খবর পড়ুন: