• মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন |
  • English Version
শিরোনাম :
বরগুনায় জাকের পার্টির বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে সরকারি যাত্রীছাউনি দখল করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ প*রকি*য়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বি*ষ খাইয়ে হ*ত্যা; প্রধান অভিযুক্ত আকলিমা ও কথিত প*রকি*য়া প্রেমিক নেসার র‍্যাব এর হাতে গ্রে*ফতা*র সাংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফের পিতার জানাজায় মানুষের ঢল পটুয়াখালীতে সাতাঁর প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  যে ইউনিয়ন পরিষদে ২০ বছরেও বসেনি কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার, তবে অ*পক*র্মের রাজ্যস্থল বাউফলে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে ব্যবসায়ীর কোমরে পি*স্তল সদৃশ ঠেকিয়ে চাঁ*দা দাবি; গ*ণধো*লাই দিয়ে যুবককে পুলিশে সোপর্দ গৌরনদীতে জামাতের নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যের জমি দখল ও প্রা*ণনা*শের হু*মকির অভিযোগ

অমলতাস বা সোনাইল; গ্রীষ্মকে প্রাণবন্ত করার একটি অন্যতম নাম

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ / ৮৭৬ বার পড়া হয়েছে
Update : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন

সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ গ্রীষ্মের তীব্র গরমে প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে যেসব ফুল ফোটে তাদের মধ্যে অমলতাস বা সোনালু-র নাম উল্লেখযোগ্য। সমস্ত বসন্ত জুড়ে প্রস্তুতি নিয়ে সোনালুর ঘুম ভাঙে বৈশাখের শুরুতে। পুষ্পিত অমলতাস তখন কাঁচা সোনা রঙের সৌন্দর্যে মাতোয়ারা করে রাখে প্রকৃতিকে। এর বাংলা নাম : অমলতাস, সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল, বাঁদরলাঠি, অলানু, কর্ণিকা। ইংরেজি নাম : Golden shower , purging cassia, Indian laburnum. বৈজ্ঞানিক নাম : Cassia fistula. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ফুল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ডে দেখা মেলে। এটি থাইল্যান্ডের জাতীয় ফুল এবং কেরালা-র রাজ্য পুষ্প। থাইল্যান্ডে একে Ratchaphruek বা Dok Khuen বলে। অনেকে আবার Thais ও ডেকে থাকে।

রৌদ্র এবং যে মাটিতে পানি জমে থাকে না সেখানে এটি ভালো জন্মায়। মাঝারী আকারের এই বৃক্ষটি প্রায় ১০-১৫ মি. পর্যন্ত উচু হতে দেখা যায়। ডালপালা ছড়ানো-ছিটানো, নিবিড় নয়। ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে এর পাতা ঝরে যায় এবং বৈশাখে নতুন কচি কলা পাতা রংয়ের পাতা গজাতে দেখা যায়, তার পরই গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। ১৫-২০ সেমি. লম্বা গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলি যৌগিক, মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির হয়। গ্রীষ্মের শুরুতে দু-একটি কচি পাতার সঙ্গে ফুল ফুটতে শুরু করে। হলুদ সোনালী রঙের অসংখ্য ফুল সারা গাছে ঝাড় লণ্ঠনের মতো ঝুলতে থাকে। দীর্ঘ ৪০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা মঞ্জরীদণ্ডে ঝুলে থাকা ফুলগুলো দৈর্ঘ্যে ২ থেকে ৪ সেমি.এবং ৪-৭ সে.মি. ব্যাসের হয়, পাপড়ির সংখ্যা পাঁচ। এর উন্মুক্ত একাধিক পরাগদন্ড এবং পরাগধানী নজর কাড়ে। সবুজ রঙের একমাত্র গর্ভকেশরটি কাস্তের মতো বাঁকানো থাকে।

ফলগুলো গোল ও লাঠির মতো লম্বা হয়। এই গাছের ফল-ফুল ও পাতা বানরের প্রিয় খাবার। এ কারণে অমলতাস কিছু কিছু জায়গায় বাঁদরলাঠি নামেও পরিচিত। স্বাদে ফল হয় হাল্কা মিষ্টি। ফল পাকতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। পেকে গেলে নিজ থেকে ফল মাটিতে পড়ে বীজ ছড়িয়ে বংশ বিস্তার ঘটায়। তবে কলমের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার ঘটানো যায় না। বীজ সহজেই অঙ্কুরিত হয়, যদিও বৃদ্ধি মন্থর। আয়ুর্বেদিক ঔষধে অমলতাসকে রোগ নাশক বলে থাকে। এর বীজ বিষাক্ত। ফলের বিভিন্ন অংশ বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে কর্যকরী। ফলের শাঁস রেচক ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া জ্বর, আর্থারাইটিস, স্নায়ুর বিভিন্ন রোগে, রক্তমোক্ষন রোগ এবং পাকস্থলির সমস্যা কোষ্ঠবদ্ধতা ও অগ্নিমান্দ্য ইত্যাদি রোগের ঔষধ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। বাকল রঙ ও ট্যানিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। এ গাছের কাঠ জ্বালানী ছাড়াও অন্যান্য কাজেও দরকার হয়।


আরও খবর পড়ুন: